বিএনপির পদত্যাগ করা এমপিদেরকে লিগ্যাল নোটিশ
- রাজনীতি নির্বাচন - রাজনীতি
- ১২ ডিসেম্বর ২০২২ - ২ বছর আগে
- পড়া হয়েছে - ২০৩৬৯
ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবারঃ জাতীয় সংসদের সদস্য থাকা কালে সদ্য পদত্যাগকারী বিএনপির সংসদ সদস্যরা কী ধরনের সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন তা জানতে চেয়ে আইনি নোটিশ জারী করা হয়েছে। আজ সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ নোটিশ পাঠান।
এতে সংসদ সচিবালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী সাত দিনের মধ্যে বিএনপির এমপিরা রাষ্ট্র থেকে যেসব সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন তা জানাতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, "জনগণ তাদের পাঁচ বছরের জন্য ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছেন। আর এই পাঁচ বছরে জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্যই তারা শপথ নিয়েছেন। অথচ পাঁচ বছর পূর্ণ না করে, জনগণকে সেবা না দিয়ে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করা বেআইনি।"
প্রসঙ্গত, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপি গত শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগের সমাবেশে সংসদে না যাওয়ার ঘোষণা দেয়। সেখান থেকে আরো জানানো... হয়, "দলের সাত এমপি যে কোনো সময় পদত্যাগপত্র জমা দেবেন স্পিকারের কাছে।" অতঃপর গতকাল রবিবার দুপুরে পাঁচজন এমপি সশরীরে জাতীয় সংসদ ভবনে উপস্থিত হয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগপত্র জমাদান কালে অনুপস্থিত অন্য দুই জন এমপির পক্ষেও পদত্যাগপত্র জমা দেয়া হয়। স্পিকার উপস্থিত পাঁচ জনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন। বাকি দুজনের একজন উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া অসুস্থ থাকায় তার আবেদনের বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলে যাচাই করার পর গ্রহণ করার কথা জানিয়েছিলেন স্পিকার। আর হারুন অর রশীদ বিদেশে থাকায় তার পদত্যাগপত্র আপাতত গ্রহণ করা হয়নি। তবে, আব্দুস সাত্তারের পদত্যাগের আবেদন যাচাই সম্পন্ন করে এবং গতকাল রাতেই গেজেট প্রকাশ করার মাধ্যমে সংসদ সচিবালয় বিএনপির ছয়টি আসন শূন্য ঘোষণা করে।
বিএনপির পদত্যাগকারী এমপিরা হলেন, জাহিদুর রহমান (ঠাকুরগাঁও-৩), মোশাররফ হোসেন (বগুড়া-৪), জিএম সিরাজ (বগুড়া-৭), আব্দুস সাত্তার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২), আমিনুল ইসলাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২), হারুন অর রশীদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩) ও রুমিন ফারহানা (সংরক্ষিত নারী আসন)।
মন্তব্য